রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেপুরে একটি রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন না করেই প্রকল্পের গম বিক্রি করে টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে একজন ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রথম পর্যায়ে “রাজনগর-বালাগঞ্জ পাকা সড়ক (বাঘমারা) হতে আলকাছ মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ কাজের জন্য ৯ মেঃ টন গম বরাদ্ধ দেওয়া হয়।ইউপি চেয়ারম্যান বাবু নকুল চন্দ্র দাশ উক্ত কাজের দায়িত্ব দেন ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছয়ফুল আলম সুহেলকে, নিয়ম মোতাবেক “কাবিখা” প্রকল্পের কাজ হতদরিদ্র দিনমজুর দিয়ে মাটি কাটার কথা থাকলেও ইউপি মেম্বার অধিক লাভের আশায় মাটি কাটার একটি ছোট গাড়ী দিয়ে রাস্তার সাইট থেকে মাটি তুলে রাস্তার উপরে দেয়া শুরু করেন। এ সময় গ্রামের মানুষজন প্রতিবাদী হয়ে মাটি কাটার গাড়ীর ড্রাইভারকে আপত্তি দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিলে ইউপি মেম্বার ছয়ফুল আলম সুহেল এলাকার মানুষকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে গায়ের জোরে গাড়ী দিয়ে ৩ দিনে ২৫/৩০ ঘন্টা মাটি তুলেন।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জানান, গ্রামবাসীর প্রতিবাদের মুখে ইউপি মেম্বার তখন বলেছিলেন বাকি কাজ লেবার দিয়ে সম্পন্ন করা হবে, এবং ৬ জন লেবার দিয়ে ৩ দিন কাজ করে রাস্তার উপরে গড়ে ১ ফুট মাটি তুলে কাজ বন্ধ করে দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার ছয়ফুল আলম সুহেলকে ফোন দেয়া হলে তিনি জানান, রাস্তার কাজে দেড় লক্ষ টাকার মত ব্যয় হয়েছে। ৯ মেঃ টন গমের কাজ স্বীকার করে তিনি জানান, পি,আই,ও সাহেব বিল উত্তোলনের সময় ২ টন গমের টাকা রেখে দিছেন। পি,আই,ও অফিস সহকারী সুমন জানান, ইউপি মেম্বারের এমন অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা। বিল উত্তোলনের সময় আমাদের অফিসে কোন টাকা রাখা হয়না।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকাপাল জানান, বৃহস্পতিবারে একটা লিখিত অভিযোগ আমার অফিসে দেয়া হয়েছিল, তদন্তপুর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পি,আই,ও সাহেবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply