সোলেমান আহমেদ মানিকঃ শ্রীমঙ্গল উপজেলার দেহ ব্যবসায়ী ও পতিতা রানী আসমার বাসা থেকে খদ্দেরসহ ২নারী ব্যবসায়ী আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। মূলহোতা ব্যবসায়ী আসমা পলাতক। আসমার বিরুদ্ধে মানবপাচারপর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মোহাম্মদ আলমগীর বাদী হয়ে এ মামলা রুজু করেন। উপজেলার শহরের অদূরে হাউজিংস্টেট এর নিকটবর্তী এলাকায় আসমা আক্তার এর বাসা থেকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে দুই নারী ও দুই যুবককে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশের সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল থানা ইনচার্জ আব্দুস ছালিকের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে এসআই মোহাম্মদ আলমগীর ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের অংশগ্রহণে ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় হাউজিংস্টেট এলাকার সন্নিকটে অভিযান চালিয়ে আসমা আক্তারের বাসা থেকে দুই যুবক ও দুই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃতরা হলো আফসানা বেগম (৩৫) পিতা আমীর হোসেন দেওয়ান, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ।রাশিদা বেগম (২৬) পিতা মোঃ আইয়ুব আলী, গ্রাম কলারদুলিয়া, নাজিরপুর, পিরোজপুর, বরিশাল। আব্দুল ওয়াহিদ (২৭) পিতা রহমত আলী, গ্রাম স্নানঘাট, বাহুবল, হবিগঞ্জ।মোহন মিয়া (২৩) পিতা শেখুল মিয়া, গ্রাম লালবাগ, থানা শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার। আসামিদের মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত হুমায়ূন কবীর আটকের কথা স্বীকার করে এমবি নিউজ কে জানান, অসামাজিক কাজের মূল হোতা ও পতিতা রানী আসমা বেগমকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। আসমার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনের ৭, ৮, ১১ ও ১২ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।এদিকে এলাকাবাসীর দাবী অসামাজিক কর্ম কাণ্ডের সবগুলো স্পটে নিয়মিত অভিযান চালালে অনৈতিক কর্ম কাণ্ড কিছুটা হলেও রোধ পাবে। বিশেষ করে যে সমস্ত আবাসিক স্পট গুলোতে কথিত রিসোর্টের নামে স্কুল কলেজ গামীদের বিপথের রাস্তা খোলাসা করে দিচ্ছে তাদের প্রতি নজর রাখার জন্য শ্রীমঙ্গল থানা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
Leave a Reply